-দবির সাহেবের জুতো-
লিখেছেন লিখেছেন Md Arif ০৬ এপ্রিল, ২০১৪, ০৮:১১:৫৬ রাত
(ইমরান এইচ সরকারের মাইর খাওয়া প্রসঙ্গে রম্য গল্প)
দবির সাহেব একজন সম্মানিত একিসাথে সংগ্রামী জননেতা। আমতলিস্থ সীমান্ত এলাকায় তারকাঁটার পাশেই উনার বাড়ি। তার কাঁটার ওপারের মানুষগুলোর জন্য তিনি নাঁড়ির টান অনুভব করেন। যদিও তারা বিজাতি। আর বাড়ির পাশের স্বজাতীয়
মানুষগুলোকে তিনি ধর্মান্ধ বলেই জানেন তবে একমাত্র তার স্বার্থের বেলা ছাড়া। কারণ স্বার্থের বেলায় তিনি নিজেই হয়ে উঠেন স্বজাতীয়দের থেকেও বড় ধর্মান্ধ!!!
হঠাৎ একদিন তারকাঁটার ওপারে রব উঠলো দবির সাহেবের
স্বজাতীয়রা গোঁড়া। আর তাদের এই গোঁড়ামির উৎস চিটাগাং এর কিছু কেল্লা। দবির সাহেবতো তেলে- বেগুনে জ্বলে উঠলেন। একদিকে তার নাঁড়ির টান অন্যদিকে সংগ্রামী চেতনা অথচ তার স্বজাতিই গোঁড়া! !!!!!!! বিষয়টা দবির সাহেবের প্রেষ্টিজে বাড়ি খেয়ে প্রেষ্টিজ ছিড়ে যাওয়ার অবস্থা। দবির সাহেব শপথ নিলেন, যে করেই হোক তার স্বজাতি থেকে তিনি গোঁড়ামির মূলোচ্ছেদ করেই
ছাড়বেন। যেই ভাবা সেই কাজ। সংগ্রামী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যাত্রা শুরু করলেন চিটাগাং অভিমুখে। কে আর ঠেকায় তাকে? তার উদ্দেশ্যে পরিষ্কার। চিটাগাং গিয়ে গেঁড়ামি শেখানোর যত কেল্লা আছে সব ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিবেন। বীরদর্পে চিটাগাং অভিমুখে এগিয়ে চলছেন দবির সাহেব। পথিমধ্যে শান্তি কোম্পানি রোডে গিয়ে পড়লেন এক মহা বিড়ম্বনায়। চারিদিক তাকালেন। কোথাও কোন সমস্যা নেই! থাকবে কি করে? সমস্যা যে সাহেবের পায়ে!!
হায় দবির সাহেবের যে জুতো ছিড়ে গেলো!!! চলতি পথের অনেকটাই বাকি। তার উপর আবার জাতীয় দায়িত্ব। ছেড়া জুতো নিয়ে বেশী দুর এগোনোও যাবেনা। সব মিলিয়ে চিন্তার এক মহা পাহাড় গ্রাস করল দবির সাহেবকে। কি করা যায়,,,,,,,,,,,,,,
হঠাৎ দবির সাহেবের মন আনন্দে নেচে উঠল। কিছুদূর এগুলেই পাওয়া যাবে FDC মার্কেট। সেখান থেকে অল্পদামে কিনে নেওয়া যাবে বেশ জাকজমকপূর্ণ এক জোড়া জুতো। এই ভাবনাতেই আনন্দ পেলেন দবির সাহেব।
৩০ মিনিট পর,,,,,,, অতিসন্তর্পনে বীর পদবারে উচ্ছল মুখে মিটিমিটি হাসি নিয়ে এগিয়ে চলছেন দবির সাহেব। পাঁয়ে তার হাইভোল্টেজ জুতো! দাম তার হরেক মাল। পথচারীরা সবাই স্ববিষ্ময়ে তাকিয়ে আছেন দবির সাহেবের দিকে। গর্বে তার বুক ফুলে উঠছে। বড় মসজিদের সামনে দিয়ে চলছেন দবির সাহেব।
গোঁড়ারা সব তার পাঁয়ের দিকে তাকিয়েই বুঝতে পারল বেডা-বেচারা FDC এর খপ্পরে পড়েছে। রংচঙ্গা জুতো দেখে আবেগ তাড়িত দবির সাহেব বুঝতেই পারেননি যে, এই জুতো তার রণে বঙ্গ দিতে পারে !!! সামনে আসছে তার নাড়ির টান। জয়কালী মন্দিরের সামনে দিয়ে চলছেন দবির সাহেব। দাদা আর দিদিরা সব
বলল বাহবা বাহবা বেস,,, সেই খুশিতে কেটে গেল দবির সাহেবের ক্লেশ।
সেন্ট্রাল হাই স্কুলের সামনে দবির সাহেব। হাঁটতে খুব কষ্ট হচ্ছে। তার পাঁয়ে ফোস্কা পড়েছে। ভাবলেন নতুন জুতো ফোস্কা পড়তেই পারে তাই বলে রণে ভঙ্গ দেওয়ার অর্থ হয়না। তিনি চলছেন তো চলছেনই। দাউদপোলের গোড়া। দবির সাহেব নিজের পাঁয়ের
দিকে তাকিয়েতো 'থ' এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন, পথচারীরা কেন তার দিকে হা হয়ে আছে। রংচঙ্গা জুতোর রং আর নেই। এবড়ো থেবড়ো হয়ে টোকাই মার্কা হয়ে গেছে একেবারে। দবির সাহেবের মাথাতো পুরাই খারাপ। গায়ে কোট-টাই আর পাঁয়ে এবড়োথেবড়ো জুতো! ভীষণ জঘন্য লাগছে তাকে। নাহ এভাবে আর চলা যায়না। জুতোর উপর ভীষণ রাগ হলো তার। কারণ জুতোইতো তার মান ডুবিয়েছে। সামনে দেখা যাচ্ছে দাউদপোলের গোড়ার অস্থায়ী ডাষ্টবিন। একদল কুকুর ও দেখা গেল। সুতরাং আর দেরি নয়। দবির সাহেব গিয়েই জুতো খুলে মারলেন কুকুর দলের মাঝখানে।
হায় হায় একি দেখল দবির সাহেব! জুতো নিয়ে কামড়া- কামড়ি করছে কুকুর! !!!!?
তা দেখেইতো দবির সাহেব Shocked!!!!!!
পথচারী Rockz!!!!!!!
কুকুর Jockz!!!!!!!?
[বি:দ্র:- দবির সাহেব=আওয়ামীলীগ
জুতো=ইমরান AIDS ছারখার ]
—আরিফ
বিষয়: রাজনীতি
৯৫৪ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সুন্দর হয়েছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন